home

call

email

প্রকাশকের নিবেদন

মাসিক আত-তাহরীক (রাজশাহী) মে ২০১৭, ২০/৮ সংখ্যায় নির্ধারিত ‘দরসে কুরআন’ কলামে উক্ত শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। মাননীয় লেখক দরসে কুরআনের সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিষয়টি যুক্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন। যাতে কেউ সাধারণ শিক্ষিত মানুষকে বিজ্ঞানের ধোঁকা দিয়ে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করতে না পারে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা মাননীয় লেখকের মাধ্যমে পরিমার্জন শেষে নিবন্ধটিকে বই আকারে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে দেশ দু’বার রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হ’লেও তা আজও পাশ্চাত্য বস্ত্তবাদের করাল গ্রাস থেকে বের হ’তে পারেনি। ফলে তার কবলে পড়ে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন সিলেবাসে সুকৌশলে বস্ত্তবাদী চিন্তাধারার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। তাদেরকে শিখানো হচ্ছে যে, এ পৃথিবী আল্লাহর সৃষ্টি নয়। বরং দূর অতীতে মহাবিশ্বে ঘটিত এক মহা বিস্ফোরণের ফলে আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে। যাকে ‘বিগব্যাঙ’ বলা হয়। এতে আমাদের সন্তানরা জন্মগতভাবে ইসলামে বিশ্বাসী হ’লেও পরবর্তীতে নাস্তিক্যবাদী হয়ে উঠছে। ফলে তারা আল্লাহ ও আখেরাতে জবাবদিহিতার অনুভূতিশূন্য হয়ে যাচ্ছে এবং মানবতাহীন স্বার্থসর্বস্ব প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে।

উক্ত থিওরী মাত্র ১৯২৭ সালে প্রকাশ পেয়েছে। অথচ সাড়ে ১৪শ বছর পূর্বেই কুরআন সে বিষয়ে বলে দিয়েছে। পার্থক্য এই যে, বস্ত্তবাদীদের ধারণা এই এক্সিডেন্ট বা মহাবিস্ফোরণ আপনা-আপনি হয়েছে। এর পিছনে কোন কর্তা নেই। পক্ষান্তরে ঈমানদারগণের দৃঢ় বিশ্বাস এটি আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়েছে (আম্বিয়া ২১/৩০)। এটি তাঁর মহা পরিকল্পনারই অংশ। যার ফলে পৃথিবীকে পৃথকভাবে মনুষ্য বাসোপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে।

পরিশেষে অত্র বই প্রকাশে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা বিভাগের সংশ্লি­ষ্ট ও সহযোগী সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ তাদেরকে ও মাননীয় লেখক এবং তাঁর পিতা-মাতা ও পরিবারবর্গকে ইহকালে ও পরকালে সর্বোত্তম জাযা দান করুন- আমীন!

সূচীপত্র