بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبيّ بعده وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلي يوم الدين وبعد
আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম একটানা তিন মাস এবং তার পাঁচ মাস পরে ‘রজব’, যা শা‘বানের পূর্ববর্তী মাস’।[1] জাহেলী আরবরা এই চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না।[2] এভাবে বছরের এক তৃতীয়াংশ তথা ‘চার মাস’ তারা লড়াই-ঝগড়া, খুন-খারাবী ইত্যাদি অন্যায়-অপকর্ম হ’তে দূরে থাকত। এ মাসগুলির মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ধর্মীয় কর্তব্য। যেমন আল্লাহ বলেন,إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلاَ تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ- ‘নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে আল্লাহর বিধানে মাসসমূহের গণনা হ’ল বারোটি। যার মধ্যে চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’। এটিই হ’ল প্রতিষ্ঠিত বিধান। অতএব এ মাসগুলিতে তোমরা পরস্পরে অত্যাচার করো না’ (তওবা ৯/৩৬)।
ফযীলত (فضائل عاشوراء):
১. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অর্থাৎ আশূরার ছিয়াম এবং ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল রাতের নফল ছালাত’ অর্থাৎ তাহাজ্জুদের ছালাত।[3]
২. হযরত আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ- ‘আশূরার দিনের ছিয়াম আমি আল্লাহর নিকট আশা করি যে, বান্দার বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হবে’।[4]
[1]. বুখারী হা/৫৫৫০; মুসলিম হা/১৬৭৯; মিশকাত হা/২৬৫৯।
[2]. বুখারী হা/৫৩; মুসলিম হা/১৭; মিশকাত হা/১৭।
[3]. মুসলিম হা/১১৬৩; মিশকাত হা/২০৩৯ ‘নফল ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/১৯৪১।
[4]. মুসলিম হা/১১৬২ (১৯৬); মিশকাত হা/২০৪৪; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/১৯৪৬।