home

call

email

লেখকের নিবেদন

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله وحده والصلاة والسـلام على من لا نبيّ بعده وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلي يوم الدين وبعد

কথায় বলে ‘গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল’ কথাটি এদেশের ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য। বাংলাদেশে সম্ভবতঃ লাখে একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যে নিজেকে ‘বানরের বংশধর’ বলে মনে করে। অথচ এরূপ একটি ফালতু বিষয়কে বিজ্ঞানের নামে স্কুল-কলেজে এমনকি ২০১৪ সাল থেকে মাদ্রাসার সিলেবাসেও ঢুকানো হয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরাও এরূপ আক্বীদা পোষণ করেননা বলে জানি। তাহ’লে কারা এগুলি করছে এবং কাদের গোপন নির্দেশে সরকার জনগণের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জনগণকে নাস্তিক বানাবার এই আত্মঘাতী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে, আমরা ভেবে পাই না।

আমাদের হাতে আল্লাহ যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছেন, ততটুকু দিয়ে এই তাওহীদ বিরোধী পশুত্ববাদী আক্বীদার প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। বর্তমান লেখনী তারই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। এর দ্বারা আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সতর্ক ও সজাগ করতে চাই। যেন তারা নাস্তিক হয়ে জাহান্নামী না হয়। 

মূলতঃ মাওলানা আব্দুর রহীম (১৯১৮-১৯৮৭ খৃ.)-এর ‘বিবর্তনবাদ ও সৃষ্টি তত্ত্ব’ (মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৯২) বইটিকে সামনে রেখেই লেখনীর অবতারণা। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি তাঁর বইয়ের ২য় সংস্করণের ভূমিকায় লিখেছেন, বইটি আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপকদের নিকট পাঠিয়েছি, অনেকে চেয়েও নিয়েছেন আমার কাছ থেকে, কিন্তু তাদের কারুরই কোন মন্তব্য আমার নিকট পৌঁছায়নি। তাই আমি আজ আবার বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণা করছি, ডারউইনের বিবর্তনবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ধোঁকা, প্রতারণা ও বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী’।

মাওলানার সঙ্গে আমরাও একই ঘোষণা দিচ্ছি ও চ্যালেঞ্জ করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কলিগদের প্রতি। পারলে প্রতিবাদ করুন বিজ্ঞান দিয়ে। নইলে একে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলুন এবং ইসলামের সত্যকে সত্য বলে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করুন। সরকারকে বলব, দ্রুত তওবা করুন এবং শিক্ষা সিলেবাস থেকে এসব কুফরী আক্বীদার বই ও লেখনী বাতিল করুন। নইলে আল্লাহর গযবকে ভয় করুন। ইতিমধ্যেই নানা ভাইরাসের গযব একটার পর একটা নাযিল হচ্ছে। অতএব দ্রুত সাবধান হৌন! আমাদের সন্তানদের ‘নাস্তিক’  বানানোর চেষ্টা করবেন না। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন- আমীন!

সূচীপত্র

বিবর্তনবাদ