home

call

email

ভূমিকা

بسم الله الرحمن الرحيم

দেশে দেশে পরাশক্তিগুলির অব্যাহত যুলুম ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ মানবতা যখন ইসলামের শান্তিময় আদর্শের দিকে দ্রুত ছুটে আসছে, তখন ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসাবে প্রমাণ করার জন্য তারা তাদেরই লালিত একদল বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে কুরআন-হাদীছের অপব্যাখ্যা করে চরমপন্থী দর্শন প্রচার করছে। অন্যদিকে নতজানু মুসলিম সরকারগুলিকে দিয়ে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক কার্যকলাপ সমূহ চালিয়ে যাচ্ছে। অতঃপর জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে একদল তরুণকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লাগানো হচ্ছে। আর তাকেই জঙ্গীবাদ হিসাবে প্রচার চালিয়ে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদী ধর্ম বলে বদনাম করা হচ্ছে। অতঃপর সন্ত্রাস দমনের নামে বিশ্বব্যাপী নিরীহ মুসলমানদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে। বাংলাদেশে একই পলিসি কাজ করছে। ফলে শান্ত এই দেশটিকে অশান্ত করার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে বিভিন্নভাবে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।

১৯৮৬ সালের ২২শে অক্টোবর রাজশাহীতে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর তিনদিন ব্যাপী ‘কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্মেলন’ উদ্বোধন করতে গিয়ে আমরা বলেছিলাম, ‘এযুগে জিহাদের সর্বাপেক্ষা বড় হাতিয়ার হ’ল তিনটি : কথা, কলম ও সংগঠন’। অতঃপর ১৯৯৮ সালের ২৫শে মে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সাতক্ষীরা যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে আমরা জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থা বিষয়ে সর্বপ্রথম জাতিকে সাবধান করি। বর্তমানে যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

উক্ত প্রেক্ষিতে সরকার ও জনগণের প্রতি আমাদের পরামর্শগুলি নিম্নরূপ।-

সূচীপত্র

জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ এবং চরমপন্থীদের বিশ্বাসগত বিভ্রান্তির জবাব
সংগঠনের মুখপত্র মাসিক ‘আত-তাহরীক’-এর ফৎওয়া সমূহ