ধন-সম্পদ
মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ। আল্লাহ রাববুল আলামীন মানবজাতিকে যে
সকল নে‘মতরাজি দিয়ে সুশোভিত করেছেন, তার মধ্যে ধন-সম্পদ অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ। অন্য সকল নে‘মতরাজির মত ধন-সম্পদও আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের
জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। মানুষ চাইলে এর সদ্ব্যবহার করার মাধ্যমে যেমন দুনিয়া ও
আখেরাতে প্রভূত কল্যাণের অধিকারী হ’তে পারে, আবার এর অপব্যবহার করে উভয়
জাহানে মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে। এজন্য পবিত্র কুরআনে মাল-সম্পদকে যেমন
দুনিয়াবী জীবনের সৌন্দর্য বলা হয়েছে (কাহাফ ৪৬), তেমনি আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখকারী ফিৎনা হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে (আল-মুনাফিকূন ৯; আত-তাগাবুন ১৫)।
ক্বিয়ামতের দিন সমগ্র মানবজাতিকে যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর আবশ্যিকভাবে
দিতে হবে, তা হ’ল কোন পথে সে তার সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কিভাবে তা ব্যয়
করেছে (তিরমিযী হা/২৪১৬)। শুধু তা-ই নয়, যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা পুষ্ট হয়েছে, ঐ দেহ জান্নাতেই প্রবেশ করবে না (মিশকাত হা/২৭৮৭; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬০৯)।
সুতরাং আল্লাহর দেয়া এই নে‘মতকে কিভাবে হালাল পথে উপার্জন করা যায়, কিভাবে
এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা যায় এবং সর্বোপরি কিভাবে সম্পদ উপার্জনে
হারাম ও সীমালংঘনের পথ থেকে আত্মরক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কে আমাদেরকে সঠিক
জ্ঞান অর্জন করা অতীব যরূরী।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ধন-সম্পদ উপার্জনের নীতি ও তার সঠিক ব্যবহার এবং সেই সাথে অবৈধ উপার্জন ও সীমালংঘন সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ ও গবেষণামূলক আলোচনা উপস্থাপন করেছেন। আমরা মাননীয় গ্রন্থকারসহ হাদীছ ফাউন্ডেশন গবেষণা বিভাগ এবং বইটি প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে কবুল করুন। আমীন!