মুসলিম
জীবনে হাদীছের গুরুত্ব অপরিসীম। হাদীছ সরাসরি আল্লাহর ‘অহি’। কুরআন ‘অহিয়ে
মাতলু’ যা তেলাওয়াত করা হয় এবং হাদীছ ‘অহিয়ে গায়ের মাতলু’ যা তেলাওয়াত করা
হয় না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘রাসূল তাঁর ইচ্ছামত কিছু বলেন না। কেবলমাত্র
অতটুকু বলেন, যতটুকু তাঁর নিকটে ‘অহি’ করা হয়’ (নাজম ৫৩/৩-৪)।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমার উপরে নাযিল করেছেন কিতাব ও হিকমত
(সুন্নাহ) এবং তোমাকে শিখিয়েছেন, যা তুমি জানতে না। তোমার উপরে আল্লাহর
অনুগ্রহ অপরিসীম’ (নিসা ৪/১১৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি বস্ত্ত রেখে যাচ্ছি।
যতক্ষণ তোমরা এ দু’টিকে অাঁকড়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ পথভ্রষ্ট হবে না। তা হ’ল-
আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৩৩৩৮; মিশকাত হা/১৮৬)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মুখনিঃসৃত বাণী, কর্ম ও সম্মতিকে হাদীছ বলা হয়। যা মুখস্থ করা অত্যন্ত যরূরী। এ বিষয়ে উৎসাহিত করে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ ঐ ব্যক্তির মুখ উজ্জ্বল করুন যে আমার কথা শুনেছে, যথাযথভাবে তা স্মরণে রেখেছে ও মুখস্থ করেছে এবং প্রচার করেছে। কেননা অনেক জ্ঞানের বাহক নিজে জ্ঞানী নয় (সে অন্যের নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়) এবং অনেক জ্ঞানের বাহক তার চাইতে অধিকতর জ্ঞানীর নিকটে জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩০; তিরমিযী হা/২৬৫৮; মিশকাত হা/২২৮)। এ হাদীছের প্রতি আমল করে ছাহাবায়ে কেরাম কুরআন মাজীদ ও হাদীছ সমূহ মুখস্থ করেছেন। পরবর্তীতে তাবেঈন, তাবে তাবেঈন ও মুহাদ্দিছগণ তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন।
এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘হাদীছ সংকলন’ শীর্ষক বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাতে তারা অল্প বয়সে এ হাদীছগুলি মুখস্থ করে তাদের আক্বীদা ও আমলকে বিশুদ্ধ করে নিতে পারে এবং ইসলামী তাহযীব ও তামাদ্দুনকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারে।
এ গ্রন্থটি সংকলন ও প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ সকলকে উত্তম জাযা দান করুন- আমীন!