আহলেহাদীছ আন্দোলনের জ্বলন্ত
প্রতিভা বন্ধুবর ইহসান ইলাহী যহীর (১৯৪৫-৮৭)-কে নিয়ে তার মৃত্যুর পরে লিখতে
হবে ভাবিনি। তবুও তাক্বদীরের লিখন খন্ডাবার নয়। কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি এই
ভেবে যে, তার কীর্তিগাথা বাংলাভাষীদের কাছে তুলে ধরার সূচনা আল্লাহ আমাদের
দ্বারা করালেন। স্নেহাষ্পদ ছাত্র ও গবেষণা সহকারী নূরুল ইসলাম একাজে এগিয়ে
আসায় এটি সম্ভব হয়েছে। এজন্য তাকে দো‘আ রইল। বইটি তিনি হাদীছ ফাউন্ডেশন-কে
দান করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। এটি যেন তার জন্য ছাদাক্বায়ে
জারিয়াহ হিসাবে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, সেই দো‘আ করি। ইতিপূর্বে লেখাটি
মাসিক আত-তাহরীক-এর ১৪ বর্ষ ৮, ১০-১২ ও ১৫ বর্ষ ১ম সংখ্যায় (মে, জুলাই-অক্টোবর ২০১১) প্রকাশিত হয়।
অনুবাদ কর্ম খুবই কঠিন কাজ। নবীনদের আমরা এ ময়দানে উৎসাহিত করছি। সাথে সাথে যাতে সেটি মান সম্পন্ন হয়, সেজন্য ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ থেকে প্রকাশিত হওয়ার আগে যেকোন বই পরিচালক কর্তৃক সম্পাদিত হয়। সেমতে এ বইটিও আমরা সম্পাদনা করেছি। যেমন ইতিপূর্বে কাবীরুল ইসলামের বই ও অন্যান্য বইসমূহ সম্পাদনা করেছি। উদ্দেশ্য, যাতে তারা যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠেন। আমাদের এরাদা রয়েছে ইহসান ইলাহী যহীরের সব বই বাংলায় অনুবাদ ও প্রকাশ করার। সেটা সম্ভব হ’লে শী‘আ, কাদিয়ানী, বাহাঈ ও সুন্নী নামধারী বাতিল ফেরক্বাগুলির নষ্ট আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে এদেশের পাঠক সমাজ দলীল সহকারে অবহিত হ’তে পারবেন এবং তাদের থেকে সাবধান হবেন।
আরবী, উর্দূ ও ফার্সী থেকে বাংলায় এবং বাংলা থেকে আরবী, উর্দূ বা ইংরেজীতে অনুবাদে আগ্রহী তরুণদের ও দক্ষ অনুবাদকদের আমরা আহবান জানাচ্ছি সংস্কারধর্মী প্রকাশনায় হাদীছ ফাউন্ডেশনকে সহায়তা করার জন্য। যাদেরকে আল্লাহ মাল দিয়েছেন তারা যেন গবেষণা বিভাগকে সমৃদ্ধ করার জন্য উদার হস্তে এগিয়ে আসেন। এমনভাবে যেন তাদের ডান হাতের দান বাম হাতে জানতে না পারে। যাতে তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় লাভকারী সাত শ্রেণীর মুমিনের অন্যতম শ্রেণীভুক্ত হতে পারেন। কারণ হাদীছ ফাউন্ডেশনের প্রতিটি প্রকাশনাই ছাদাক্বায়ে জারিয়ার সর্বোত্তম ক্ষেত্র। আল্লাহ তাঁর দ্বীনের স্বার্থে আমাদের সকলের শুভ প্রচেষ্টাসমূহ কবুল করুন- আমীন!