এক রজনীর উপহার ‘ইনসানে কামেল’
নওগাঁ জেলে মাননীয় লেখকের কারাসাথী ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল মেহেরপুর যেলার গাংনী ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম স্বীয় কারাস্মৃতিতে বলেন,
‘মুহতারাম আমীরে জামা‘আত একদিন বিকালে আমাকে ডাকলেন। সে সময় আমরা সেলের আঙিনায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম। তিনি বললেন, ‘নূরুল ইসলাম! সরকারের যে মনোভাব দেখা যাচ্ছে, তাতে আমাদের সহজে ছাড়বে না। আমাদের কর্মী, শুভাকাংখী ও সাধারণ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আমাদের কিছু নছীহত থাকা দরকার। আমি স্যারের কথা সমর্থন করে বললাম, আমাদের নেতা-কর্মীদের কার্যকর দিক-নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই লকআপ-এর ঘণ্টা পড়ে গেছে। ফলে আমীরে জামা‘আতের রাতের খাবার তাঁর কক্ষে ঢেকে রেখে আমরা তিনজন পাশেই আমাদের রুমে চলে গেলাম। ...পরদিন ফজরের ছালাতের পর লকআপ খুললে স্যারের রুমে গিয়ে দেখি রাতের খাবার যেভাবে ঢেকে রেখেছিলাম সেভাবেই আছে। বললাম, স্যার একি অবস্থা? বললেন, খাওয়ার কথা মনেই নেই। তোমরা শোন, এই আমার নছীহত। নছীহতনামাটি আযীযুল্লাহ পড়তে লাগল, আমরা শুনলাম। স্যার মাঝে-মধ্যে বুঝিয়ে দিলেন। কি চমৎকার উপদেশমালা! ‘ইনসানে কামেল’ নামে এক রাতেই শেষ করা তাঁর এই লেখাটিকে আমরা আল্লাহর রহমত হিসাবে গ্রহণ করলাম। স্যার বললেন, লেখাটি খুব সাবধানে মারকাযে পাঠানোর ব্যবস্থা কর। ওরা রেফারেন্সগুলো দিয়ে দিবে’।
পরে লেখাটি মাসিক ‘আত-তাহরীক’ ৯ম বর্ষ অক্টোবর ও নভেম্বর’০৫ পরপর দু’সংখ্যায় বের হয়। আরও পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে সেটি ৩২ পৃষ্ঠার বই আকারে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ প্রকাশ করে (কারাস্মৃতি ৬৫-৬৬ পৃ.)।
দীর্ঘ সময় পরে মাননীয় লেখকের পুনরায় দেখা ও সংশোধনীর মাধ্যমে বইটির ২য় সংস্করণ বের করতে পেরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
সচিব
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ