بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা (مقدمة المؤلف)
অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে বহু সমাজ দরদী মানুষ নানাবিধ প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। যা সাময়িকভাবে সমাজে স্থিতি ফিরাতে সক্ষম হ’লেও স্থায়ী ফলদায়ক হয়নি। উক্ত লক্ষ্যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ হ’তে যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ আল্লাহর অহি-র আলোকে পথ দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু স্বার্থপর মানুষ নবীগণের সেই নিঃস্বার্থ হেদায়াত নিজেদের জীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রহণ করেনি। ফলে পৃথিবীর দিকে দিকে মানুষের হাতে প্রতিনিয়ত মানবতা পর্যুদস্ত হচ্ছে। শেষনবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর পক্ষ হ’তে অহি প্রাপ্ত হয়ে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের ভিত্তিতে সমাজ সংস্কারে ব্রতী হন। যার পদ্ধতি ছিল পরিশুদ্ধিতা ও পরিচর্যা। যার মাধ্যম ছিল ‘দাওয়াত ও জিহাদ’। মূলতঃ তাওহীদের মর্মবাণীকে জনগণের নিকটে পৌঁছে দেওয়া এবং শিরক ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে সর্বমুখী ‘জিহাদ’-ই হ’ল দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি।
২৩ বছরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ নবুঅতী জীবনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাতিকে যে বাস্তব নির্দেশনা দিয়ে যান, সেটাকেই আমরা ‘সমাজ পরিবর্তনের স্থায়ী কর্মসূচী’ নাম দিয়ে আগামী বংশধরগণের উদ্দেশ্যে পেশ করলাম। একটি বড় বিষয়কে ছোট আকারে তুলে ধরা নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। তবুও চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য পথ দেখানোই যথেষ্ট বলে মনে করি। সমাজ সংস্কারের দুরূহ কাজে নামলে উৎস থেকে ঝর্ণা বেরোবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আগামী দিনের বিচক্ষণ সংস্কারকদের হাতেই এর যথার্থ বাস্তবতা নির্ভর করে। অতএব আল্লাহর নিকটেই সকল প্রার্থনা এবং তিনিই একমাত্র তাওফীকদাতা।
আল্লাহ তার অনুগত বান্দাদের সর্বোত্তম পারিতোষিক দান করুন! তিনি আমাদেরকে ও আমাদের পিতা-মাতা ও পরিবারবর্গকে তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন! সবশেষে দরূদ ও সালাম বর্ষিত হৌক শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) ও তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহাবায়ে কেরামের উপর।
২য় সংস্করণে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে এবং বইয়ের কলেবর ৫৬ থেকে ৬৪ পৃষ্ঠা হয়েছে। আশা করি তা সংস্কারমনা ভাইদের ফায়েদা দিবে।