[১৯৮৬ সালের ২২শে অক্টোবর বুধবার সকাল ৮-টায় রাজশাহী মহানগরীর রাণীবাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র তিনদিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্মেলনের প্রথম দিনে ছাত্র-শিক্ষক-ওলামায়ে কেরাম ও সুধী সমাবেশে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব যে উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করেন, তার প্রশ্নোত্তর পর্বটি ‘পরিশিষ্ট’ অংশ হিসাবে নিম্নে প্রদত্ত হ’ল। উল্লেখ্য যে, মূল ভাষণটি ‘সমাজ বিপ্লবের ধারা’ নামে ইতিপূর্বে প্রকাশ করতে পারায় আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। -প্রকাশক]
ইসলামী সমাজ বিপ্লবের পূর্বোক্ত[1] তিন দফা কর্মপন্থা বাস্তবায়নের পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই পুরাতন ও আধুনিক কয়েকটি মতবাদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। দ্বাদশ শতাব্দী হিজরীর আরবীয় সংস্কারক ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (১১১৫-১২০৬ হি./১৭০৩-১৭৯০খৃ.) তাঁর ‘মাসায়েলুল জাহেলিইয়াহ’ বইয়ের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের প্রাক্কালে আরবে প্রচলিত একশত প্রকার জাহেলিয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন।[2] আমরা সেখান থেকে একটি এবং আধুনিক কালের দু’টি পরস্পর বিরোধী চরমপন্থী মতবাদের উল্লেখ করব।
[1]. উক্ত তিন দফা কর্মপন্থা ‘সমাজ বিপ্লবের ধারা’ নামে প্রকাশিত বইয়ে দেখুন। হা.ফা.বা প্রকাশনা-২৭।
[2]. বইটি লেখক কর্তৃক অনূদিত এবং সঊদী সরকার কর্তৃক ১৯৯১ সালে প্রকাশিত ও বিনামূল্যে বিতরিত।