১৯৮৯ সালের জানুয়ারীতে ‘অছিয়ত
নামা’টি হাতে পাওয়ার দিন থেকেই এরাদা করেছিলাম যে, এটি অনুবাদ করে
বাংলাভাষী ভাই-বোনদের উপহার দেব। কিন্তু জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে
এতদিন তা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন পর সুযোগ পাওয়ায় সর্বাগ্রে আল্লাহর প্রতি
প্রাণভরা শুকরিয়া আদায় করছি; আল-হামদুলিল্লাহ।
প্রত্যেক মানুষের ‘অছিয়ত’ তার জীবনের শেষকথা হিসাবে গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এরপরেও যদি সেটি লিখিত হয়, তাহ’লে সেটি আরও গুরুত্ব পায় সুচিন্তিত হওয়ার কারণে।
শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) উপমহাদেশের হানাফী-আহলেহাদীছ সকল মুসলমানের নিকট সমানভাবে গ্রহণীয় একজন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তাঁর দাওয়াত ও সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে অবহিত হওয়া সকলের জন্য আবশ্যকীয়। সেকারণ আমরা তাঁর ‘অছিয়ত নামা’ অনুবাদের সাথে সাথে সংক্ষিপ্ত জীবনী সন্নিবেশিত করেছি। যা ইতিপূর্বে আমাদের ডক্টরেট থিসিসে পরিবেশিত হয়েছে। তবে এখানে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহের তালিকা সংযোজিত হয়েছে।
আমরা মনে করি, শাহ অলিউল্লাহ (রহঃ)-এর স্বলিখিত ‘অছিয়ত নামা’র মধ্যেই তাঁর সংস্কার আন্দোলনের রূপরেখা ফুটে উঠেছে। আশা করি তা সকল যুগের সংস্কারমনা পাঠকদের চিন্তার খোরাক হবে।
একজন মহান পূর্বসূরীর ‘অছিয়ত নামা’ অনুবাদ ও প্রকাশ করার তাওফীক প্রদান করায় মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং প্রকাশক ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম জাযা প্রার্থনা করছি। পরিশেষে দরূদ ও সালাম বর্ষিত হৌক শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং ছাহাবায়ে কেরামের প্রতি।